Header Ads

Header ADS

ন্যানো টেকনোলোজি কি



 ন্যানােটেকনােলজি শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘ন্যানােস’ (Nannos) থেকে এসেছে, যার অর্থ ক্ষুদ্র বা বামন কিংবা
জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্রাকৃতির মানব বা অন্য কোনাে প্রাণী। অতএব বলা যায়, ন্যানােটেকনােলজি হচ্ছে ।
আধুনিক বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা, যেখানে অণু, পরমাণু এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু নিয়ে গবেষণা করা হয়।
অর্থাৎ, যখন কোনাে বস্তুর কার্যক্ষমতা বাড়ানাের জন্য কোনাে বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা ।
পরমাণুগুলােকে ন্যানােমিটার স্কেলে বা ন্যানাে পার্টিকেলরূপে পরিবর্তন করা হয়, তখন সেই প্রযুক্তি বা
টেকনােলজিকে ন্যানােটেকনােলজি বলা হয়। অন্যকথায়, পদার্থের পারমাণবিক এবং আণবিক স্কেলে
ম্যানিপুলেশন-ই হলাে ন্যানােটেকনােলজি।


আধুনিক যুগে নানােটেকনােলজিকে বলা হয় প্রযুক্তির বিস্ময়। একুশ শতকে এসে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে যতটা না তোলপাড় হচ্ছে তার চেয়ে বেশি আলােচনা হচ্ছে ন্যানােটেকনােলজি নিয়ে। ন্যানােটেকনােলজিকে সংক্ষেপে ন্যানােটেক বলা হয়।
ন্যানােটেকনােলজির মূলকথা হচ্ছে- এতে সবকিছুই তৈরি হবে ন্যানােস্কেলে। এটি প্রযুক্তির এমন একটি শাখা যেখানে ন্যানাে স্কেলে বিভিন্ন পদার্থ তৈরি করে তা দিয়ে কাজ করা হয়। সাধারণতঃ এই ন্যানাে স্কেলে হিসাব পরিচালনা করা হয় ১ ন্যানােমিটার থেকে ১০০ ন্যানােমিটারের মতো


ন্যানােটেকনােলজি-তে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হিসেবে ন্যানােমিটার ব্যবহার করা হয়। কোনাে কিছুর এক
কোটি ভাগের এক ভাগকে ১ ন্যানাে বলা হয়। যেমন- ১ সেকেন্ডের একশ কোটি ভাগের এক ভাগকে ১ নানাে।
সেকেন্ড বলে। আবার ১ ন্যানােমিটার (1 nm) = 10`9 মিটারের সমতুল্য।যদি ইঞ্চির সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে ২,৫৪,০০,০০০ ন্যানােমিটার = ১ ইঞ্চি।

 যদি ১টি মার্বেল ১ ন্যানােমিটার হয় তাহলে পৃথিবীর আকার হবে ১ মিটার। একটি চুলের সাথে তুলনা করা হলে একটি চুল হচ্ছে ১লক্ষ ন্যানােমিটার প্রশস্থ এবং সবচেয়ে ছােট ব্যাকটেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানােমিটার।ন্যানােটেকনােলজিতে ন্যানােমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় বস্তু।

ন্যানাে সায়েন্স এবং ন্যানাে টেকনােলজি হলাে-একক অণু-পরমাণু দেখা এবং নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য। ন্যানাে
প্রযুক্তির ফলে কোনাে উপকরণকে এতােটাই ক্ষুদ্র করে তৈরি করা যায় যে, এর থেকে আর ক্ষুদ্র করা সম্ভব নয়
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার প্রযুক্তির সাথে ন্যানােটেকনােলজির নিবিড় সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়।

কম্পিউটারের ভেতরে যে প্রসেসর রয়েছে তা অসংখ্যক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ন্যানােমিটার স্কেলের সার্কিট দ্বারা তৈরি। আর তাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে ন্যানােটেকনােলজি। এইন্যানােটেকনােলজির সাহায্যে ইন্টেল প্রসেসরে, সিলিকন-এর উপর প্যাটান করে যে সার্কিট বানানাে হয়, তার ।বর্তমান আকার হলাে ১০০ ন্যানােমিটার। ধারণা করা ।হচ্ছে সামনের তিন বছরে এর আকার হবে ৭০ন্যানােমিটার এবং পরবর্তী সাত বছরে এর আকার হবে।৫০ ন্যানােমিটার। হার্ডডিস্কেও বর্তমানে ন্যানােটেকনােলজি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কেও তথ্য সংরক্ষণের ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। তাই বাজারে এখন টেরাবাইটের হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে।

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.